কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ,কিশোরগঞ্জ
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
নারীদের মাঝে যথাযথ শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাদের অধিকার সচেতন ও আত্ম প্রত্যয়ী করার প্রত্যয় নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় ১৯৬৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জ মহিলা কলেজ। এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নির্ধারিত কোন স্থান না থাকায় প্রথম অস্থায়ী কার্যক্রম শুরু হয় আদর্শ শিশু বিদ্যালয়। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭২ সালের ৩ ডিসেম্বর স্থায়ীভোবে কলেজটিকে বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করেন এবং এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৭৪-১৯৭৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক(পাস),২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক সম্মান এবং ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাস্টার্স শেষপর্ব কোর্স চালু হয়। তারপর থেকে শুরু হয় এই কলেজের গতিশীল পথচলা। ১৯৮৯ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার বর্তমানে নারী শিক্ষার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বর্তমানে অত্র কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক,ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখাসসহ মোট ০৩(তিন) টি শাখায় শিক্ষা কার্যক্রম চালূ আছে। স্নাতক (পাস),স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর কোর্স সমূহ সাফল্যোর সহিত পরিচালিত হচ্ছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এর আন্তরিক দিকনির্দেশনায় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রয়াত মন্ত্রী মহোদয় জনাব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম,কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও কিশোরগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের প্রাক্তন এমপি জনাব দিলারা বেগম আসমা এর আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় কলেজে ১৩(তের) টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ,০৫(পাঁচ)টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স এ পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও অত্র কলেজে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ বিএসএস এবং এমবিএ (প্রফেশনাল) কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে চন্দ্রাবতী ও বেগম শামসুন্নাহার গণি নামে 02টি হোস্টেল রয়েছে। বর্তমান জাতীয় সংসদের কিশোরগঞ্জ সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব জাকিয়া নূর লিপি মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় কলেজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। কলেজ প্রশাসনের অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় ও সুদক্ষ পরিচালনায় উক্ত বিদ্যাপিঠে বর্তমানে একটি চমৎকার শিক্ষাবন্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।